• Phone: +8801785-408231
  • Email: softtopit@gmail.com
  • Address: Dhaka, Bangladesh
    • Follow us on:

    Blogs > Blog Details

    News and Insights

    image

    ডিসেম্বর শেষে বেকার বেড়ে হয়েছে সাড়ে ২৩ লাখ

    দেশে গত বছরের শেষ তিন মাসে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ হাজার। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ২৩ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার আর নারী বেকারের সংখ্যা ৭ লাখ ৮০ হাজার। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

    সম্প্রতি বিবিএস এ জরিপের তথ্য প্রকাশ করেছে। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ১০ হাজার। এক বছরের ব্যবধানে সেই সংখ্যা ৪০ হাজার বেড়ে গেছে।

    অর্থনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, প্রায় দুই বছর ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা সংকট চলছে। ডলার–সংকট ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চাপে রয়েছেন উদ্যোক্তারা। এ অবস্থায় নতুন বিনিয়োগ কমে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগও খুব বেশি বাড়ছে না। ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। কিন্তু তার বিপরীতে প্রতিবছর শেষে কর্মক্ষম বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী চাকরির বাজারে যুক্ত হচ্ছেন। যাঁদের একটি বড় অংশই কাজ না পেয়ে বেকার থাকছেন। অর্থনীতির সংকট ও বিনিয়োগ কমে যাওয়ার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে কর্মসংস্থানে।

    জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলে আসছি, দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে না। তার বড় প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানে। এখন বিবিএসের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপে বেকার বৃদ্ধির তথ্য সেটিরই প্রতিফলন। তবে বেকারের সংখ্যা, বিনিয়োগসহ সরকারি যেসব পরিসংখ্যান রয়েছে, সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সব সময় প্রশ্ন রয়েছে।’

    বিবিএস বলছে, সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, কিন্তু কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন, তাঁদেরই বেকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি জরিপের আগে ৩০ দিন বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন, তাঁরাও বেকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন। তাঁদের ১৩-১৪ লাখের দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান হয়। বাকিটা দেশের বাইরে প্রবাসে যান। তাই দুই দশক ধরে বেকারের সংখ্যা ২৪-২৮ লাখের মধ্যে আছে।

    বিবিএসের হিসাবে বেকারের বাইরে দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে। গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে সেই সংখ্যাটি ছিল প্রায় ৪ কোটি ৭৪ লাখ। যাদের বড় অংশই শিক্ষার্থী, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত বা বয়স্ক লোক। শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে এ সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি। আর শ্রমশক্তির বাইরে থাকা পুরুষের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি।

    আরও পড়ুন

    বিশ্ববিদ্যালয় পাস বেকার ৮ লাখ: জরিপ

    দেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে বেসরকারি খাত। তাই বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে গেলে কর্মসংস্থানের সুযোগও নষ্ট হয়। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ডলার–সংকট বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের পথে প্রধান বাধা। অর্থনীতির এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ার খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সরকারি বিনিয়োগে যেসব কাজ করা হয়, তাতে খুব বেশি কর্মসংস্থান হয় না। এ অবস্থায় স্ব-কর্মসংস্থানে সুযোগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা।

    এ বিষয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘তরুণ ও শিক্ষিত যুবকেরা যাতে নিজেরা নিজেদের কর্মসংস্থানে সুযোগ তৈরি করতে পারেন, সে জন্য তাঁদের সহজে ব্যাংকঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের অর্থায়ন ব্যবস্থায় এ উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতে আশানুরূপ বিনিয়োগের খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। তাই ঋণসুবিধা বাড়িয়ে তরুণদের স্ব–কর্মসংস্থানের পদক্ষেপ নিতে হবে।’

    বছরওয়ারি গড় হিসাবে কমেছে বেকার

    প্রান্তিকভিত্তিক হিসাবের বাইরে বছরওয়ারি বেকারের একটি গড় হিসাব দিয়েছে বিবিএস। বছরওয়ারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সাময়িক হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা বেশ কমেছে। গত বছর শেষে বেকার লোকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজারে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। বছরওয়ারি হিসাবে, গত বছর শেষে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

    বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশের শ্রমশক্তি আছেন ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার নারী-পুরুষ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার এবং নারী ২ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে ডিসেম্বর শেষে দেশে ৭ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার নারী-পুরুষ জরিপের সময়কালের আগের সাত দিনে এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার এবং নারী ২ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার।

    বছরওয়ারি গড় হিসাবে কমেছে বেকার

    প্রান্তিকভিত্তিক হিসাবের বাইরে বছরওয়ারি বেকারের একটি গড় হিসাব দিয়েছে বিবিএস। বছরওয়ারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সাময়িক হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা বেশ কমেছে। গত বছর শেষে বেকার লোকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজারে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। বছরওয়ারি হিসাবে, গত বছর শেষে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

    বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশের শ্রমশক্তি আছেন ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার নারী-পুরুষ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার এবং নারী ২ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে ডিসেম্বর শেষে দেশে ৭ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার নারী-পুরুষ জরিপের সময়কালের আগের সাত দিনে এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার এবং নারী ২ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার।

     

    কর্মসংস্থান বেশি কৃষিতে

    বিবিএসের হিসাবে, গত ডিসেম্বর শেষে কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি ৩ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার নারী-পুরুষ কাজ করেন। শিল্পে এ সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৯০ হাজার আর সেবা খাতে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার।

    1 Comments:

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Alert: Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry.